কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক :
অনেক মানুষ বর্তমানে ভিক্ষাকে ব্যবসা আর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে ধর্মীয় লেবাস (দাড়ি, টুপি ও পান্জাবি) ভিক্ষাবৃত্তির কাজে অনন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আল্লাহর রাসূলের নামে তারা স্লোগান ব্যবহার করছে যেটা ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসলমানগণের বিশ্বাসকে ছোট করে।
সম্প্রতি কক্সবাজার সরকারি কলেজের বি.এস.সি.(অনার্স) ৪র্থ বর্ষের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী মোতাহের হোসেন তাঁর ফেসবুকে টাইমলাইনে এমন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো:-
” রাস্তার পাশে মাইক নিয়ে টাকা সংগ্রহকারীদের আমি কখনো টাকা দিই-না, এই কর্মকে চরমভাবে ঘৃণা করি। আমি মনে করি- এটা ধর্মীয় সিম্পেতির অপব্যবহার আর সুস্পষ্ট ভিক্ষাবৃত্তি।
যারা মাদ্রাসা পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের দিয়ে গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের নামে ভিক্ষা করে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
এই ছোট্ট কোমলমতি শিশুগুলোকে কিছু বুঝার আগেই অন্যের কাছে হাত পাতানো শেখানোর জন্যই নিশ্চয় মাদ্রাসায় পাঠানো হয় না।
আত্মমর্যাদাবোধ জেগে উঠার আগেই যে শিশুকে অন্যের দ্বারে দ্বারে পাঠানো হয় টাকা চাওয়ার জন্যে, রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় টাকা সংগ্রহের জন্য, বড় হওয়ার পর এরকম কাজ করতে তার আত্মমর্যাবোধে কখনো বাঁধবে না।
মসজিদের ছাদ, অজুখানার টাইলস্ দেওয়ার জন্য ভিক্ষা করে পূণ্য অর্জন করার আগে একটু ভাবুন আপনি কি করছেন। ছাদ টাইলস দেওয়া কি এতোটাই ইম্পর্ট্যান্ট?
ইসলাম একটি সভ্যতা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ আন্দোলনের নাম ইসলাম। এখানে ঠুনকো বিষয়ে অন্যের দ্বারে হাতপাতার সুযোগ নেই।
কেউ হয়তো বলবে এরাতো মসজিদ মাদ্রাসার জন্য টাকা তুলে এটা কেন ভিক্ষা হবে, এটাতো ভালো কাজ। মা’কে হজ্জে পাঠানোর জন্য ঘুষ খেলেও এটা ঘুষ।
ভালো কাজ করলে হবে না। করার পথটাও ভালো হওয়া দরকার।
ভিক্ষা আপনি করুন কোন সমস্যা নেই। যখন ধর্মকে ব্যবহার করে ভিক্ষা করবেন আমি আপনাকে ঘৃণা করব। কারণ আমার বিশ্বাস আর চেতনাকে খাঁটো করার অধিকার আপনার নেই।
নবীর শিক্ষা কর না ভিক্ষা, মেহনত কর সবে।
আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের সমাজের বিবেক প্রকৃত আলেমে দ্বীন এসব কাজ করেন না। এইসবের বিরুদ্ধে আলেমদের কথা বলা দরকার। “
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-